পিটিয়ে শিশু হত্যায় আটক মুহিত ৫ দিনের রিমান্ডে
সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁওয়ে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩) ওয়ার্কশপের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মুহিত আলমকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় সিলেটের মহানগর হাকিম আদালত-২ এর বিচারক ফারহানা ইয়াসমিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন মুহিতকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
মহানগর হাকিম আদালত-২ এর সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফরিদ আহমদ জাগো নিউজকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে এমএম আদালত ২ এ বিষয়ে শুনানি শেষে মুহিতের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি-তদন্ত আলমগীর হোসেন জানান, শিশু রাজন হত্যার সঙ্গে আর কারা জড়িত এবং তাকে হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে আজই মুহিতকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মামলার অন্যতম আসামি প্রবাসী মুহিতের ভাই কামরুল ইসলামে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির নোটিশ দেশের প্রতিটি বিমান ও স্থলবন্দরে পাঠানো হয়েছে।
গত বুধবার শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে শহরতলির কুমার বাসস্টেশন এলাকার একটি ওয়ার্কশপের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে খুন করা হয়। এরপর মরদেহ মাইক্রোবাসে করে গুম করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে মুহিত নামের এক খুনি। নিহত রাজন সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও বাসস্টেশন সংলগ্ন কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদে আলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলায় রাজনের মরদেহ ফেলার সময় হাতেনাতে আটক মুহিত ও তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের তিনদিনের মাথায় শিশুটিকে নির্মম নির্যাতন করে খুন করার একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পায়।
ছামির মাহমুদ/একে/পিআর