শেরপুরে ঈদের কেনাকাটায় ধুম


প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ১২ জুলাই ২০১৫
ফাইল ছবি

ঈদকে কেন্দ্র করে শেরপুরের প্রতিটি পরিবারেই কেনাকাটার ধুম পড়েছে। বিভিন্নস্তরের ক্রেতা-বিক্রেতায় পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। পোশাকের পাশাপাশি ভিড় জমেছে বেড়েছে ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি বিক্রির শো-রুমগুলোতেও।

এবার ঈদুল উল ফিতরে বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। দেখা যায়, ইলেকট্রনিক্স দোকানগুলো বিভিন্ন ছাড় দিয়েছে। ফলে প্রচুর ফ্রিজ, টেলিভিশন, ওভেন ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে। কেউ কেউ আবার তাদের সন্তানের জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনে দিচ্ছেন। এছাড়া ঈদে শেরপুরের শাড়ির দোকানিরা দামী দামী শাড়ি বিক্রি করছেন। স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাপড় কিনে দর্জি দিয়ে পোশাক বানাচ্ছেন। বিভিন্ন কস্মেটিক্স দোকানে কস্মেটিক্স আইটেম যেমন চুড়ি, লিপস্টিক, নেইল পলিশ, স্নো, পাউডার, মেহেদী ইত্যাদির চাহিদা খুব বেশি। জুতার দোকানগুলোর বিক্রি তুঙ্গে।

তবে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা হিসেবে মুদি সদাই, মসল্লা, কাঁচা বাজার, মুরগি, খাসির মাংস, গরুর মাংস, সেমাই, লাচ্ছা ইত্যাদি কেনাকাটা এখনও তেমন শুরু হয়নি। বিক্রেতারা জানালেন, এগুলো ঈদের ২/৩ দিন আগে থেকে বিক্রি শুরু হবে। শহরের মোড়ে মোড়ে বাহারি টুপির দোকানগুলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়া ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে শিশুদের চশমা ও অন্যান্য দ্রব্যাদি।

এবারের ঈদ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ খুব আশাবাদী। সকল ধরনের দোকানিরা জানালেন যে, মানুষ এবার মন খুলে কেনাকাটা করছে।

শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম জানান, এবারের ঈদের বাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উল্লেখ করার মত। কোন ধরনের ছিনতাই, ইভটিজিং লক্ষ্য করা যায়নি। সাধারণ মানুষ গভীর রাত পর্যন্ত জেলার সড়কগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ঘরমুখো মানুষ বাড়িতে যেতে পারে সে জন্য পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।