সাবেক পৌর মেয়রসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া আহমদ পাপলুকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে রেকর্ড তৈরি ও প্রকল্প দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সিলেটের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করলে ওইদিন মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত সচিব) যুগেশ্বর চ্যাটার্জী (৫৯), পৌরসভার কর্মচারী ছাব্বির আহমদ (২৬), জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা (২৬)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি পাপলু ও প্রকৌশলী যুগেশ্বর চ্যাটার্জী পৌরসভা (চুক্তি) বিধিমালা ২০০১ এর বিধি ৪ অনুসারে প্রকল্প কমটি গঠন না করে এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস ২০০৮ এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে ২০১৫ সালের ১১ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ১৪টি স্মারকে অফিস আদেশ স্বাক্ষর করেন এবং ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন করেন।

ওই প্রকল্পের বিল বাবদ ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৭৪ টাকা বিল উঠানো হয়। এর মধ্যে আসামিরা ৬ লাখ ২৯ হাজার ৭২২ টাকা দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আত্মসাৎ করেন। দুদকের সরেজমিন অনুসন্ধানে ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে ১২টির অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং মাস্টার রোলে উল্লেখিত শ্রমিকদের নাম ঠিকানায় বাস্তব কোনো অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে পৌরসভার কর্মচারী (সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক) দুলাল আহমদের নামে দুইটি প্রকল্প বানিয়ে তার স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।

দুদকের তদন্তে বিষয়টি ধরা পরলে দুলাল আহমদ তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান, তার স্বাক্ষর জাল করে সাবেক মেয়র এ টাকা উত্তোলন করেছেন। তিনি এসবের কিছুই জানেন না।

দুদকের কর্মকর্তা পৌর কর্মচারী দুলালের কথায় বিশ্বাস না করে দুলালের নমুনা স্বাক্ষর ও প্রকল্পের নথিতে থাকা স্বাক্ষর যাচাইয়ের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে প্রেরণ করলে বিশেষজ্ঞ মতামতে (সিআইডি আঙ্গুলাংক শাখা) দুলালের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেয়।

এছাড়া পৌরসভার বিল বোর্ড না লাগিয়ে আসামি সাব্বির আহমদ ৩৯ হাজার ৭২২ টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে আসামি জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবলা ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলুর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ওসি (প্রশাসন) এ কে এম ফজলুল হক শিবলী বলেন, মামলাটি দুদক তদন্ত করবে। আমরা শুধু আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করব। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

ছামির মাহমুদ/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।