সরকারের ডিকশনারিতে পশ্চাদপদ বলে কোনো শব্দ নেই : শিক্ষামন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খাগড়াছড়ি
প্রকাশিত: ১০:১৮ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতেও স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় নতুন ভবন নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সরকারের দৃষ্টির আড়ালে নয় বরং দৃষ্টির সীমানাতেই রয়েছে। সরকারের ডিকশনারিতে পশ্চাদপদ বলতে কোনো শব্দ নেই। সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পাহাড়, হাওর-বাঁওড় ও নদীভাঙন এলাকায় কাজ করছে।

শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একসময় সারাদেশের শুধুমাত্র জেলা শহরগুলোতে একটি করে পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল। এখন প্রতিটি উপজেলায় একাধিক পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এটা শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের সাফল্যেরই অংশ।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেই অধ্যায়ের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশ্যেসিং, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. আলী আহমেদ খান প্রমুখ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন- বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম এবং খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সচিব শ্রীলা তালুকদার প্রমুখ।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।