জয়ের আশায় তৃতীয় লিঙ্গের নাদিরা খানম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট ও রংপুর
প্রকাশিত: ০৮:৩৮ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

‘আমি তৃতীয় লিঙ্গের হলেও বিপুল ভোটে জয় লাভ করবই। জনগণ আমাকে ভোট দেবেন বলে কথা দিয়েছেন। জয়লাভ করলে সমাজের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত ও নির্যাতিতদের নিয়ে কাজ করব। আমি সমাজটাকে পরিবর্তন করতে চাই যেন আমাকে দেখে সবাই এগিয়ে আসে।’ কথাগুলো বলছিলেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী নাদিরা খানম।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন ১৮, ২০ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী নাদিরা খানম। তার প্রতীক মোবাইল ফোন। তিনি ওই তিন ওয়ার্ডের সাতজনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রংপুর ন্যায় অধিকার তৃতীয় লিঙ্গ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি তিনি।

নাদিরা খানম বলেন, আমি নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আমার প্রতীক মোবাইল ফোন মার্কা নিয়ে জনগণের কাছে প্রচারণা চালিয়েছি। কোথাও কোনো প্রকার সমস্যায় পড়িনি। আগামীকাল সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করি।

nadia

নাদিরা খানম ১৯৯১ সালে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে এইচএসসি, ১৯৯৫ সালে দিনাজপুর আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকেই বিএ ও ১৯৯৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন। দিনাজপুর জেলার নিউ টাউন ৬ নম্বর এলাকায় মৃত সিরাজুল ইসলামের চার সন্তানের মধ্যে নাদিরা দ্বিতীয়। বর্তমানে রংপুর নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড বালাপাড়া এলাকায় দেড়যুগ থেকে বসবাস করেন।

২০০৭ সাল থেকে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নে ভোটারের লিঙ্গ পরিচয় ছিল নারী অথবা পুরুষ। ২০১৩ সালের হিজড়াদের লিঙ্গ পরিচয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের জুলাইতে ভোটার নিবন্ধন বিধিমালায় সংশোধন আনে নির্বাচন কমিশন। সেই থেকে নিবন্ধন ফরমে নারী, পুরুষ ও হিজড়া-তিন লিঙ্গ পরিচয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।এতে নাদিরা খানম তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত হন।

রংপুর বিভাগীয় নির্বাচন কমিশনার সুভাস চন্দ্র সরকার বলেন, তৃতীয় লিঙ্গে প্রার্থী নাদিরা খানম নির্বাচনী সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা পাবেন। তিনি রংপুর বিভাগের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তৃতীয় লিঙ্গে হলেও নারী হিসেবে ভোটার হয়েছেন।

জিতু কবির/রবিউল হাসান/এফএ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।