বন্যার রেশ না কাটতেই আবারো বন্যার আভাস তিস্তা পাড়ে


প্রকাশিত: ০৬:০৭ এএম, ১১ জুলাই ২০১৫
ফাইল ছবি

সাত দিন আগের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতে তিস্তা নদীর পানি ফের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা অববাহিকার বসবাসরত নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পুনরায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

শনিবার উজানের ঢলে সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা সকাল ৯টায় ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে বলে জানায় ডালিয়াস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ কেন্দ্র।

গত পহেলা জুলাই বিকেল থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। এ ধারা অব্যাহত ছিল ৪ জুলাই পর্যন্ত। এরপর তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসছিল। ওই বন্যার রেশ কেটে যাওয়ার ৭ দিনের মাথায় শনিবার তিস্তা পুনরায় বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তা পাড়ের আব্দুর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় কোনো বৃষ্টি নেই। হঠাৎ করে উজানের ঢলে শনিবার ভোর থেকে পুনরায় তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খালিশা চাপানী, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি,জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের  নিম্নাঞ্চল এবং চরবাসীরা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, উজানের ঢলে তিস্তা বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইট গেট খুলে রাখা হয়েছে।

জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।