কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ১১:১২ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর বিজয়ের আনন্দে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। হাজার হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত থেকে উপভোগ করেন এই খেলা। খেলোয়াড়দের নানা শারীরিক কসরত দেখে মুগ্ধ হন তারা। ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাটিতে ধরে রাখতে এমন আয়োজন দাবি আয়োজকদের। কালের বিবর্তণে হারিয়ে যেতে বসা একটি খেলার নাম লাঠি খেলা।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলাবাজার ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হয় দিনব্যাপী লাঠি খেলা প্রতিযোগিতা। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার দর্শক ভিড় করেন খেলা দেখতে। ঢোলের তালে তালে নেচে-গেয়ে নানা ধরনের শারীরিক কসরত প্রদর্শন করছেন খেলায়াড়রা। আর তা দেখে মুগ্ধ হন উপস্থিত দর্শক। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৭টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

গতকাল বিকেলের দিকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে এ লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন গোয়ালখালী গ্রামের লুকমান সর্দারের দল, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নোয়ারব আলী সর্দারের দল, মাড়ন্দী গ্রামের কওসার সর্দারের দল, বনখিদ্দা গ্রামের দলীল উদ্দিন সর্দারের দল, ধনঞ্জয়পুর জর্দারপাড়ার আজিবার সর্দারের দল, খড়াশিং গ্রামের আলফাজ সর্দারের দল, খড়িকাডাঙ্গা গ্রামের নুরালী মেম্বারের দল। লাঠি খেলা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার দর্শক আসেন।

খেলোয়াড়রা জানান, এ থেকে নেই পারিশ্রমিক তাই অন্যকে আনন্দ দেয়ার জন্যই খেলা করে বেড়ানো। ঐতিহ্যবাহী এ খেলাটি বার বার আয়োজনের দাবি উপস্থিত দর্শকদের।

আয়োজকরা জানান, বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্যই এ লাঠি খেলা প্রতিযোগিতার আয়োজন।

মনহরপুর গ্রামের বাপ্পারাজ বলেন, লাঠি খেলা দেখে খুব মজা পেয়েছি।

দামদারপুর গ্রামের খেলোয়াড় রশিদ বলেন, খেলা দেখে মানুষ আনন্দ পায়। আর তাদের আনন্দ দেখে আমরাও আনন্দিত হই, তাই এ খেলা ।

এ ব্যাপারে লাঠি খেলার আয়োজক, কোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন বলেন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পরিচিত করে দিতে ও অতীত ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এ আয়োজন।

আহমেদ নাসিম আনসারী/জেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।