ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাট পানিতে তলিয়ে আছে
দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলার মানুষের বাড়ি ফেরা ও সহজ যোগাযোগের অন্যতম ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি রুট। অথচ এ রুটে ভোলার অংশের ইলিশা ফেরিঘাট পানিতে তলিয়ে আছে। প্রতিদিন ৫/৬ ঘণ্টা পানিতে তলিয়ে থাকায় ওই সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পন্টুন ও র্যাম। এ কারণে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। নেই যাত্রী ছাউনী ও টার্মিনাল। যেখানে ৪টি কে টাইপ ফেরির প্রয়োজন সেখানে চলছে একটি দিয়ে। তাই এবার ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দু`পাড়ে আটকা পড়ে রয়েছে কয়েকশ মালামালসহ ট্রাক। ফেরিঘাটে এসে যাত্রীদের নৌকা দিয়ে পাড় হতে হচ্ছে।
ব্যবস্থা নিতে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ উদাসীন। ৪ বছর আগে ২০১১ সালের ১ জুলাই নৌ-মন্ত্রী মো. শাজাহান খান ফেরি কিষাণী উদ্বোধনকালে ফেরি বাস্তবায়ন ও ভোলা স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি, সম্পাদক সহ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীরা ১১টি প্রস্তাবসহ স্মারকলিপি দিয়েছেন। ওই দিন তা ৩ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন মন্ত্রী। কিন্তু ড্রেজিং ছাড়া আর কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়িত না হওয়ায় ক্ষোভ জানান সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
ঈদে নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে কাল এ ঘাট পরির্শনে আসছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। আর এ কারণে ঝড় বৃষ্টির মধ্যেও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ফেরিঘাট সংস্কার শুরু করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ পঁচা ইট ফেলাতে তা টেকসই হচ্ছে না। বর্তমান সংস্কার আই-ওয়াশ বলে অভিযোগ করেন ফেরি বাস্তবায়ন ও ভোলা স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এদিকে এ রুটের উন্নয়নে শনিবার ১১টি দাবি ও প্রস্তাব জানাতে ওই ঘাটে গণ জমায়েতের ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করছে ফেরি বাস্তবায়ন ও ভোলা স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির নেতারা।
অমিতাভ অপু/এমজড/এমএস