একদিনের ভাড়াও বকেয়া রাখেননি মন্ত্রী ছায়েদুল হক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ডাক বাংলোতে আর কোনোদিন আসবেন না মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক।
ডাক বাংলোতে বসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও হবে না তার। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা গেছেন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ।
সরকারি সফরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নাসিরনগর এলে ডাক বাংলোতে বেশি সময় কাটাতেন ছায়েদুল হক। দলীয় নেতাকর্মীদেরও ডাক পড়তো ডাক বাংলোতে। ছায়েদুল হকের আগমনে সবসময় জমজমাট থাকতো বাংলোটি। বাংলোর নিচ তলার কক্ষটিতে রাত্রিযাপন করতেন ছায়েদুল হক। এখান থেকেই দলীয় সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন তিনি।
তবে শনিবার দুপুরে ডাক বাংলোর চিত্র ছিল একেবারেই ভিন্ন। সরকারি এ বাংলোটিতে নেই কোনো নাগরিক কোলাহোল। ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে নিস্তব্ধ ডাক বাংলোর তত্ত্বাবধায়ক আলী মিয়া।
ডাক বাংলোর তত্ত্বাবধায়ক আলী মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, আমি ১২ বছর ধরে এ ডাক বাংলোয় আছি। আগে আমার বাবা কাজ করতেন এখানে। মন্ত্রী ছায়েদুল হক আমাকে নিজের ছেলের মতো আদর করতেন। প্রতিবারই এসে আমার খোঁজ নিতেনে তিনি। মন্ত্রী হয়েও তিনি বাংলোর ভাড়া পরিশোধ করেছেন। তার একদিনের ভাড়াও বকেয়া নেই।
এদিকে, ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উপজেলা প্রশাসনসহ নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর অনুষ্ঠান সংক্ষেপে শেষ করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপি তাদের সব কর্মসূচি বাতিল করেছে।
এছাড়া প্রিয় নেতার মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছে পুরো নাসিরনগরবাসী। ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে দু’দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাফি উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, নাসিরনগরে ছায়েদুল হকের বিকল্প আর কেউ নেই। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে সেটি কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়।
আজিজুল সঞ্চয়/এএম/আরআইপি