রাঙামাটিতে দূর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা


প্রকাশিত: ১২:১২ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪

রাঙামাটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে মধ্যে দিয়ে উদযাপন হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। উৎসবটিকে ঘিরে জেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাপনা। রাঙামাটি জেলার মোট ৪০ পূজামণ্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজার উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসব অবাধ, শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানে মন্ডপে মন্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায়  রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা এ কথা জানানো হয়।

সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসকে মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বুড়িঘাট মন্দিরের সভাপতি বাবুল দে হত্যাকান্ডের ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রশাসন চেষ্টা করছে এ হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের চিতি করে আইনের আওতায় আনতে। জেলার প্রতিটি মন্ডপে যাতে সুশৃংঙ্খলভাবে পুজা উদাযাপন হতে পারে  সে দিকে পুলিশ প্রশাসনে পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।

রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অমর কুমার দে জানান, আগামী ৩১ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। এবছর রাঙামাটি জেলায় ৪০মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সব মন্দিরে পূজা উদযাপনে প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করতে চলেছি। এখন প্রতিটি মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। তিনি জানান, এবার উপজেলাওয়ারি রাঙামাটি সদরে ১৪, কাপ্তাইয়ে ৭, রাজস্থলীতে ৩, কাউখালীতে ৪, নানিয়ারচরে ২, জুরাছড়িতে ১, বিলাইছড়িতে ১, বাঘাইছড়িতে ৪, লংগদুতে ২ এবং বরকলে ২টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, সভায় রাঙামাটিতে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা সম্প্রীতি ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষে এর মধ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পূজামন্ডপের স্থান নির্ধারণসহ প্রতিটি মন্ডপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, মন্ডপগুলোতে নারী-পুরুষের পৃথক প্রবেশপথ, প্রতিমা বির্সজন, মন্ডপে মন্ডপে সার্বক্ষণিক আলোর ব্যবস্থা, কমিটি কর্তৃক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং আইন-শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য তাস, জুয়া, চাক্কি খেলা, মাদক সেবন ও গভীর রাত অবধি নাচগান না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন- রাঙামাটি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুমানা রহমান শম্পা, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অমর কান্তি দে, নানিয়ারচর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সুধীর নন্দী প্রমুখ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।