নূর হোসেনের ২২টি বাস নিয়ে নিল ইফাদ অটোজ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের এবিএস পরিবহনের ২২টি যাত্রীবাহী বাস নিয়ে নিয়েছে ইফাদ অটোজ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

টাকা পরিশোধ না করায় বাসগুলো নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। এর আগে এই কোম্পানির কাছ থেকে এককালীন ও কিস্তিতে বাসগুলো কিনেছিলেন তিনি।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের টেকপাড়ার বালুর মাঠ থেকে বাসগুলো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ পেয়ে ওই কোম্পানি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আব্দুস সাত্তার।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল আলম ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলার বরাত দিয়ে জানান, নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেন সাত খুনের আগে ঢাকার ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানির কাছ থেকে কিস্তিতে ২৪টি যাত্রীবাহী বাস কিনেন।

কিন্তু সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন জেলে যাওয়ার পর ওই বাসগুলোর কোনো কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি। ফলে ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানির পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার ফজলুল হক সরকার ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

ওই মামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা রুনা লায়লা বাসগুলো ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। ফলে বুধবার রাত পর্যন্ত ২১টি ও বৃহস্পতিবার ১টি বাস ওই কোম্পানির নিজস্ব রেকারের মাধ্যমে নিয়ে যায়।

এসআই শামসুল আলম জানান, ২৪টি বাসের মধ্যে ২২টি বাস নূর হোসেনের বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ১টি বাস সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও ১টি বাস ফতুল্লায় থানায় রয়েছে। দু’টি বাসের নামে মামলা থাকায় বাস দু’টি বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি।

মামলার বরাদ দিয়ে ওই এসআই আরও জানান, প্রতিটি বাসের ইঞ্জিনসহ চেসিস মূল্য ২৪ লাখ টাকা। তারা নগদে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করেন। অবশিষ্ট ১৯ লাখ টাকা বার্ষিক শতকরা ১১ ভাগ সুদ হারে ৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকাসহ মোট ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ৪৮টি কিস্তির (প্রতিটি কিস্তি ৫৭ হাজার টাকা) প্রদান করার শর্তে বিক্রি করা হয়।

এবিএস পরিবহন নামের বাসগুলো শিমরাইল-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করত। সাত খুনের পর নূর হোসেনের বাসগুলোর চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, আদালতের নির্দেশে নূর হোসেনের মালিকানাধীন ২২টি যাত্রীবাহী বাস ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

হোসেন চিশতী সিপলু/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।