শেরপুরের নকলায় বিদ্যুৎ অফিসে ভাংচুর
শেরপুরের নকলায় বিদ্যুৎস্পর্শে স্কুলছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহরে একটি মিছিল বের করে। সেই শোক মিছিল থেকে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা পিডিবি’র নকলা উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে ভাংচুর করে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এ সময় হামলায় ওই অফিসের কম্পিউটার, জানালার কাঁচ, চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করলেও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে স্কুল মাঠে বৃষ্টির মধ্যে সহপাঠীদের সাথে ফুটবল খেলার সময় নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র তানিম হাসান তড়িতাহত হয়ে নিহত হয়। সেখানে বিদ্যুতের খুঁটির টানার সাথে ফুটবলটি আটকে গেলে সেটি আনতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার শহরে একটি শোক মিছিল বের করে। কিন্তু দুর্ঘটনার পরও বিদ্যুতের ক্রুটিপূর্ণ খুঁটিটি অপসারণ না করায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে শোকমিছিল থেকে বিদ্যুৎ অফিসে ঢুকে ভাংচুর করতে থাকে।
এ বিষয়ে নকলা পিডিবি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু তৈয়ব বলেন, ছাত্ররা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ অফিসে ঢুকে ভাংচুর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে।
নকলা থানার ওসি গোলাম হায়দার ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শোকাহত ছাত্ররা ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিটি অপসারণ না করায় শোক মিছিল থেকে আকস্মিকভাবে বিদ্যুৎ অফিসে ঢুকে ভাংচুর চালায়। এসময় ৬ ছাত্রকে আটক করা হলেও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।