৩ দিন ‘নিখোঁজ’ ক্রীড়া কর্মকর্তা সিআইডি হেফাজতে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

তিন দিন নিখোঁজের পর নাটোর ও পাবনা জেলার দায়িত্বে থাকা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের (২৯) খোঁজ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে তার সন্ধান পাওয়া যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা তাকে নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে গেছেন। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ ও নিখোঁজ রাকিবুল হাসানের ভাই ড. সামসুজ্জোহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিখোঁজ রাকিবুল হাসান পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা গ্রামের এছাম উদ্দিনের ছেলে।

নাটোর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আসিক হোসেন জানান, গত ১০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাকিবুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার শেষ কথা হয়। তিনি সেসময় নাটোরের গুরুদাসপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে অফিসে আসছেন বলে জানিয়েছিলেন।

কিন্তু সেদিন আর অফিসে আসেননি। পরে বিষয়টি নাটোরের পুলিশ সুপারকে ও রাকিবুলের বড় ভাইকে জানানো হয়। ওইদিন দুপুর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।

গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার সময় তাকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজার এলাকার শ্বশুর আমিরুল ইসলামের বাড়ি থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে। সিআইডি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির সদস্যরা রাকিবুল হাসানকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে গেছেন। প্রাথমিকভাবে তারা জেনেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে তার জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহ করা হচ্ছে। এ জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ওসি আরও বলেন, রাকিবুল হাসান নিখোঁজ ছিলেন না। অথচ গত তিন দিন ধরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বা তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল। তাকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকেই আটক করা হয়েছে।

ছাইখোলা গ্রামে রাকিবুল হাসানের পরিবারের পক্ষ থেকে গত তিন দিন থেকেই বলা হচ্ছিল রাকিবুল হাসানের মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। তিনি কোথায় আমরা জানি না। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে চাটমহর বা গুরুদাসপুর থানায় কোনো ডায়েরি করেননি।

নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, তাকে না পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজ খবর নেয়া হয়। পরে জানতে পারি জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান নিখোঁজ হননি। তাকে সিআইডি অফিসের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন।

জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের ভাই ড. সামসুজ্জোহা বলেন, রাকিবুল হাসানের সন্ধান আমরা পেয়েছি। তিনি ঢাকার সিআইডি কার্যালয়ে আছেন। আমরাও ঢাকায় এসেছি। আপনারা আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।

রেজাউল করিম রেজা/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।