নড়াইলে নলকূপের টাকা ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অধীনে ২৫০টি গভীর নলকূপ স্থাপনের টাকা কালিয়া উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর ইঞ্জিনিয়ার ও সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার এর পকেটে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে কালিয়া উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর অধীনে ২৫০টি গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন হয় এবং এই কাজ দেওয়া হয় গোপালগঞ্জ জেলার ঠিকাদার মেসার্স মনির ট্রডার্সকে। শর্ত অনুযায়ী কালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে ৯০০ ফুট পাইপ দিয়ে ভাল মানের নলকূপ স্থাপনের কথা থাকলেও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ২৫০টির মধ্যে পানি উঠেনা বেশির ভাগ নলকূপে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুর রউফ শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিটা নলকূপে ৯০০ ফুট পাইপ দেওয়ার কথা থাকলেও পাইপ দিয়েছে ৪৫০-৬০০ ফুট অথচ অফিস থেকে ৯০০ ফুট পাইপ এর বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার।
সরেজমিনে কালিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ নলকূপে পানি উঠেনা। আর যে নলকূপগুলোয় পানি উঠে সে পানিতে আর্সেনিক ।
বাবরা হাছলা ইউনিয়নের পাটকেলবাড়ি মসজিদের ঈমাম মাওলানা শেখ মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, সরকার থেকে আমাদের এই মসজিদে একটি নলকূপ দেওয়া হয়েছে কিন্তু নলকূপে পানি উঠেনা । টাকা খরচ করে আমাদের কোন কাজেই লাগছেনা নলকূপটি।
কালিয়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম জাগো নিউজকে জানান, কালিয়া উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর ইঞ্জিনিয়ার মো. আকরাম হোসেনকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়ে ঠিকাদার মেসার্স মনির ট্রডার্স সম্পূর্ণ টাকা তুলে নিয়ে গেছে।
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিন উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দোষী প্রমানিত হলে অফিসিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার মো. আকরাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমার বিরুদ্ধে প্রশাসন যে কোনো ব্যবস্থা নিলে আমি মেনে নিতে বাধ্য আছি।
ঠিকাদার মেসার্স মনির ট্রডার্স এর মালিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
হাফিজুল নিলু/এসএস/এমআরআই