সাত খুন মামলার নারাজি আবেদন খারিজ


প্রকাশিত: ০৬:০৯ এএম, ০৮ জুলাই ২০১৫

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার চার্জশিটের নারাজি আবেদন খারিজ করে দিয়ে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। এজাহার থেকে আওয়ামী লীগের নেতাসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দেয়ায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ওই নারাজি আবেদন করেছিল। বুধবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালত এ আদেশ দেন।

সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়ি চালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাতদের করা হয়েছিল।

এদিকে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী বিউটি জানান, প্রধানমন্ত্রীর বাবার হত্যার বিচার যদি করতে পারেন তাহলে আমাদের সাত খুনের বিচার কেন তিনি করবেন না। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের নাম চার্জশিট থেকে কেন বাদ দেয়া হলো তা আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই। আর চার্জশিট থেকে যাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তারা এখন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং উচ্চস্বরে বলছে দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে রেহাই পেয়েছে।  

গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশিটে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার হওয়া সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ র‌্যাবের চাকরিচ্যুত তিন আলোচিত কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে বিউটির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি যাদের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি হাজী ইয়াছিন মিয়া রয়েছেন।

এ ঘটনায় গত ১১ মে আদালতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করেন।

নারাজি আবেদনের বাদী নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির কৌশুলি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, একটি চুরি মামলার ব্যাপারে আদালতে নারাজি দেয়া হলে বিষয়টি আমলে নেয়া হয়। কিন্তু আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় বাদীর নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করে খারিজ করে দেয়ায় নিহতের পরিবার গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

অন্যদিকে সরকার পক্ষের এপিপি কে এম ফজলুর রহমান জানান, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল চার্জশিট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা ঘটাতে সেলিনা ইসলাম বিউটি নারাজি দিয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত নারাজি নামঞ্জুর করে খারিজ করে দিয়ে আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেছেন। আর মামলায় ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

এদিন সাত খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মামলায় অভিযুক্ত তারেক সাঈদকে হাতকড়া ছাড়াই আদালতে হাজির করা হয়েছে।  

মো.শাহাদাৎ হোসেন/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।