পটুয়াখালী মুক্ত দিবস আজ
পটুয়াখালী মুক্ত দিবস আজ ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পটুয়াখালী শহরকে হানাদার মুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা ওড়ান পটুয়াখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তবে মুক্তিযুদ্ধের সেসব গৌরমবয় ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে এখন অনেকটাই অজানা। এছাড়া স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও জেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ও গণকবরগুলো সংস্কার করা হয়নি। জেলার বীরঙ্গনা নারীরা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পায়নি আজও।
পটুয়াখালী ও বরগুনা অঞ্চলে যুদ্ধকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনীর দায়িত্বে থাকা মেজর নাদের পারভেজ ও তার সৈন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৭ ডিসেম্বর রাতে পটুয়াখালী শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৮ ডিসেম্বর সকাল থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা শহরে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও পরে শিশুপার্ক মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
যুদ্ধকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী শহরের জেলা কারাগারকে তাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতো। সেসময় কয়েকশ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে কারা অভ্যান্তরে মাটি চাপা দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে কারাগারটি আনসার ব্যাটালিয়নের ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় সবসময় শ্রদ্ধা নিবেদনের অনমুতি মেলে না সেখানে।
পটুয়াখালী সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি স্বপন ব্যনার্জী জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এলাকা ভিত্তিক ইতিহাস সংরক্ষণ না করায় অনেক ভুয়া ব্যক্তিরাও আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এদের দাপটে কোণঠাষা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস একত্রিত করে নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে হবে।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/আইআই