মেহেরপুর মুক্ত দিবস আজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ১২:০৯ এএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭

আজ ৬ ডিসেম্বর। মেহেরপুর মুক্ত দিবস। মুক্তিবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে দাঁড়াতে না পেরে হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের এদিনে মেহেরপুর ছেড়ে পালিয়ে যায়। মেহেরপুরবাসী পায় স্বাধীনভূমি।

মেহেরপুর পৌর ডেপুটি কমান্ডার সৈয়দ হুমায়ুন কবির আরজু জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে স্বাধীনতার সুতিকাগার মুজিবনগর তথা মেহেরপুরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তৎকালীন এসডিও তৌফিক এলাহির সক্রিয় ভূমিকায় ছাত্র, আনসার-মুজাহিদদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলা হয়। ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

মেহেরপুরকে মুক্ত করতে চারদিক থেকে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। ৫ ডিসেম্বর বিকেলে জেলার বিভিন্ন দিক দিয়ে আক্রমণ করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ৫ ডিসেম্বর রাত থেকেই মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার দিকে পিছু হঠতে শুরু করে তারা।

কুষ্টিয়া সড়কের খলিশকুণ্ডি দিয়ে পালিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। যাবার সময় আমঝুপি দিনদত্ত ব্রিজ, ওয়াবদাসহ বহু গুরত্বপূর্ণ স্থান ধ্বংস করে দিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে পাক বাহিনীর সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিন সকাল থেকেই মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ে।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আতাউল হাকিম লালমিয়া বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কঙ্কালগুলো এক জায়গায় সমাহিত করে পূর্ণ মর্যাদা দেয়ার দাবি জানান।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বশির আহম্মেদ জানান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধগুলো সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয় না। এদিকে সচেতন হতে হবে। এ জেলায় যেসকল গণকবর আছে সেগুলো সংরক্ষণের দাবি করেন সাবেক এ জেলা কমান্ডার।

আসিফ ইকবাল/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।