খাল রক্ষায় ৪ সচিবসহ ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রুল জারি
বরিশাল নগরীর লাকুটিয়া খাল কেন রক্ষা করা হবে না জানতে ভূমি, পরিবেশ, বন, পানি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিসিসি মেয়র, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সরকারের ১৪টি দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রোববার দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর সমম্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
পাশাপাশি খালের ওপর নির্মিত স্লুইস গেটের পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রতিবেদন এবং খালের ওপর নির্মিত বাঁধসহ সকল স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা রিট আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট রোববার উল্লেখিত এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
বেলার আইনজীবী অ্যাড. মিনহাজুল হক চৌধুরী জানান, লাকুটিয়া খাল দখল ও দূষণ রোধ নিশ্চিত করতে বেলা হাইকোর্টে রিট করেছিল। রিটের শুনানি শেষে বেঞ্চের বিচারকদ্বয় রুল জারি ও অন্যান্য নির্দেশ দেন।
বেলার বরিশালের সমম্বয়কারী লিংকন বায়েন জানান, ১৯৮৭-৮৮ সালে ঐতিহ্যবাহী লাকুটিয়া খালের দুই দিকে দুুটি স্লুইজ গেট স্থাপন করা হলে খালটি নাব্যতা হারায়। ২৫৮ জন দখলদার খালের ওপর ছোট ছোট স্থাপনা নির্মাণ করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে দখলদারের সংখ্যা। খাল ক্রমশ শুকিয়ে যাওয়ায় চরবাড়িয়া ও কাশীপুর ইউনিয়নের দুই হাজার হেক্টর জমির কৃষি কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই লাকুটিয়া খালের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বেলা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করে খালের সীমানা নির্ধারণ এবং সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালের মূল প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে ভূমি, পরিবেশ,বন, নদী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিসিসি মেয়র, পরিবেশ অধিদফতরের মাহপরিচালক,বরিশাল জেলা প্রশাসক,পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের উপজেলা প্রকৌশলীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ছিল বেলা।
সাইফ আমীন/এআরএ/আরআই