কিবরিয়া হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ পৌর মেয়রের জামিন নামঞ্জুর


প্রকাশিত: ০৮:৪৪ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৫

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জি কে গউছের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ মাফরোজা পারভীনের আদালত এ আবেদন নামঞ্জুর করেন।

সকালে কারাগারে আটক জি কে গউছের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌশলী আকবর হোসেন জিতু। শুনানি শেষে বিচারক দুপুরে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দেন।

কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়। হত্যা মামলার চার্জশিটে জি কে গউছ আসামি হওয়ায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন। মামলাটি বর্তমানে সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন আছে। বিস্ফোরক মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ মামলায়ও তদন্ত কর্মকর্তা তাকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এতে আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপিসহ ৪৩ জন। এ ঘটনায় দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর তৃতীয় দফায় তদন্ত শেষে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেটের এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল।

এতে নতুন করে আসামি করা হয় খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্তকৃত) আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের পৌর মেয়র (বর্তমানে সাময়িক বরখাস্তকৃত) জি কে গউছসহ ১১ জনকে। তবে ৩৫ আসামির মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং আরো দুইজনের নাম-ঠিকানা সঠিক না পাওয়ায় তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এমজেড/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।