পার্বত্যচুক্তির দ্রুত পুনর্বাস্তবায়ন দাবি ইউএনপিওর


প্রকাশিত: ০৮:০১ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পুনর্বাস্তবায়নের ওপর জোরালো সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছে আনরিপ্রেজেনটেড নেশন ও পিপলস অর্গানাইজেশন (ইউএনপিও)। ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউএনপিও এর ১২তম অধিবেশনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, রোডম্যাপ ঘোষণা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দ্রুত পুনর্বাস্তবায়ন করুন। অধিবেশনে অংশ নেয়া জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা ব্রাসেলস থেকে পাঠানো এক প্রেস বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন।

মঙ্গল কুমার চাকমা জানান, ২-৪ জুলাই তিন দিনব্যাপী ইউএনপিও এর সাধারণ পরিষদের ১২তম অধিবেশন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয়। ৪ জুলাই ওই অধিবেশন শেষ হয়েছে। ইউএনপিও এর ৪৬ প্রতিনিধিত্বহীন জাতি (নেশন) ও জাতিগোষ্ঠীর (পিপলস) সদস্যদের মধ্যে ২৫ জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৪০ জনপ্রতিনিধি ১২তম অধিবেশনে অংশ নেন।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা এবং মানবাধিকারকর্মী (সিএইচটি ফাউন্ডেশন) কৃষ্ণ আর চাকমা ওই সম্মেলনে যোগদান করেন।

সম্মেলনের ওই অধিবেশনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে বিষয় হস্তান্তর ও কার্যকরকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন- ২০০১-এর বিরোধাত্মক ধারা সংশোধন করে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, অপারেশন উত্তরণসহ সব অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার, সেটেলার বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনক পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সহায়তা দেয়ার জন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।

ওই রেজুলেশনে অপ্রতিনিধিত্বশীল জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর মানবিক নিরাপত্তা, পরিবেশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে বৈষম্য ও বঞ্চনার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া অপ্রতিনিধিত্বশীল জাতি ও জাতিগোষ্ঠীর ভূখণ্ডে সরকার কর্তৃক সামরিকায়ন বন্ধ করা, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বসতিকারী জনসংখ্যা সরিয়ে নেয়া, ভূমি জবরদখল বন্ধ করা এবং বিভিন্ন অঞ্চলে আদিবাসী ও সরকারের মধ্যকার স্বাক্ষরিত চুক্তি বা সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানানো হয়।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এমজেড/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।