২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র ১১ জন
জনবল সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। গাইনি, শিশু, চক্ষু ও নাক-কান-গলাসহ গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট দিয়েই চালানো হচ্ছে কার্যক্রম। ১১ জন চিকিৎসক দিয়েই চলছে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম। ফলে যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার মানুষ।
এদিকে যেসব বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন তাদেরকেও সময়মত পাওয়া যায় না এবং ওষুধ সরবরাহ থাকলেও না পাওয়ার অভিযোগ রোগীদের। এছাড়া পর্যাপ্ত বেড না থাকায় অনেক রোগী মেঝেত শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর উপজেলার দূর্গপুর গ্রামের শিরিন আক্তার জানান, আড়াই বছরের মেয়ের ঠান্ডা এবং জ্বরের চিকিৎসার জন্য এসেছেন। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সিরিয়াল পেলেও মাত্র ১টি ওষুধ দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং বাকি ওষুধ বাইরে থেকে কিনে নিতে বলেছেন।
নাচোল উপজেলার কসবা গ্রামের আকবর আলী জানান, পাঁচ দিন আগে অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এরমধ্যে মাত্র একদিন ডাক্তার এসে দেখেছেন বাকি সময় নার্সরাই চিকিৎসা দিচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাজি শামীম হোসেন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চিকিৎসকসহ অন্যন্য জনবলের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে আসে।
তবে ওষুধ নিয়ে রোগীদের অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে সিভিল সার্জন বলেন, এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। দামী ইনজেকশনও দেয়া হয় রোগীদের। এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন সময় সরেজমিনে গিয়ে রোগীদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পেরেছি যে তারা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আয়শা জুলেখা জানান, ১৯৮৪ সালের ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ২০১১ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। কিন্তু এখনও ৫০ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে এখান চিকিৎসা কার্যক্রম। তারপরও ৫০ শয্যার জনবল অনুযায়ী ২১ জন চিকৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ১১ জন। কয়েকটি বিভাগ চিকিৎসক শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই।
আব্দুল্লাহ/এফএ/এমএস