রসিক নির্বাচন, মেয়র প্রার্থীসহ ১৮ জনের মনোনয়ন বাতিল
রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে যাচাই-বাছাই শেষে ৬ মেয়র প্রার্থীসহ ১৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর ৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর রয়েছেন ৪ জন। শনি ও রোববার ছিল মনোনয়ন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া।
রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২২ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত মেয়র পদে ১৩ জন মনোনয়ন জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমাদানকারী সাবেক জাপা নেতা ও রংপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রউফ মানিক, মেহেদী হাসান বনি, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, শাকিল রায়হান, সুইটি আনঞ্জুম এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এছাড়া মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত সাবেক মেয়র সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএনপির কাওসার জামান বাবলা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ.এম এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য ও রংপুর জেলা জাপার সাবেক সদস্য সচিব আসিফ শাহরিয়ার, বাসদের আব্দুল কুদ্দুস, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’র এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু এবং ন্যাশনাল পিপল্স পার্টির সেলিম আখতারের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, মনোনয়ন বাতিলের একদিন আগেই বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নাজমুল আলম নাজু নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার নগরীর গ্রান্ডহোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজু বলেন, যেহেতু ম্যাডাম খালেদা জিয়া কাওসার জামান বাবলাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাই আমি উনার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে মনোনয়ন দাখিল করা সত্ত্বেও এ নির্বাচনে আর অংশগ্রহণ করবো না।
অপরদিকে রংপুর মহানগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৭টি জন মনোনয়ন জমা দেন। এদের মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর ৮ জন ও ৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
গত ৫ নভেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনয়ন-সংক্রান্ত আপিল নিষ্পত্তি ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৪ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২১ ডিসেম্বর।
এ সিটি কর্পোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৭টি।
জিতু কবীর/এমএএস/আরআইপি