রংপুরে নাতিকে রক্ষা করতে গিয়ে দাদার মৃত্যু


প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ০৩ জুলাই ২০১৫

রংপুরের উত্তর পীরজাবাদ যুগীপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলা থেকে নাতিকে রক্ষা করতে গিয়ে বল্লমের আঘাতে আহত দাদা শহিদার রহমান (৫০) মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে হামলার শিকার হয়ে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সকালে  রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এদিকে তার মারা যাবার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হামলাকারীদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছেন। খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই এলাকার আফছার কবিরাজের ছেলে নয়নের (২৫) সঙ্গে নিহতের নাতি মুদি দোকানদার মিলন মিয়ার কলা কেনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে নয়ন তার দলবল নিয়ে মিলনের দোকানে গিয়ে আবারও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে নয়ন ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা বল্লম দিয়ে মিলনকে মারার জন্য উপক্রম হলে দোকানের পাশেই অবস্থানরত মিলনের দাদা শহিদার রহমান বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন। এসময় নয়ন বল্লম দিয়ে শহিদারের পিঠে ও পেটে জখম করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিন দিন চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে শহিদার মারা যান।

ঘটনার পরদিন বুধবার শহিদারের স্ত্রী বুলবুলি বেগম নয়নকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, একই এলাকার মিজানুর, হারুন, সুমন, শাজাহান, মতলুব, হাজেক আলী, লাজুক, সুমন ও নজরুল। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাজাহানকে গ্রেফতার করলেও অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

অন্যদিকে সকালে শহিদারের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী উল্লেখিত আসামিদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। পরে র‌্যাব-১৩ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জাগো নিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ আসামিদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করেছে।

 

এমজেড/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।