আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
চার কোটি টাকা আত্মসাত ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার মেসার্স সিটি ফার্নিচারের মালিক রাঙ্গা সিংহ ও নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ সিলেট মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ পপি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাদী দুজনের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে নেন। এছাড়া তারাপুরের ভূমি জোরপূর্বক বিক্রির অর্থসহ ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করেন বিজিত চৌধুরী। তিনি অর্থমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা আবু কাওছার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কখনো ক্রীড়া সংস্থার, কখনো মন্ত্রীদের বন্ধু, কখনো পত্রিকার সম্পাদকসহ বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। পাওনা টাকার বিপরীতে বাদীকে চেকও দেন বিজিত চৌধুরী। কিন্তু ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে চেক ফেরত আসে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা বিজিত চৌধুরী বলেন, নগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ একটা সময় আমার কর্মচারী ছিল। সে কোনো একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দায়ের করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব। নগেন্দ্র যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট সেটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে।
তিনি আরও বলেন, নগেন্দ্র বর্মণ আমাকে ব্যবসা করার জন্য পার্টনার হওয়ার অনুরোধ করেন। পরে আমি তাকে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ২১ লাখ টাকা দিয়েছি। এগুলোর কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে। এছাড়া তার একটি ব্যাংক লোনেও আমি নিজে গ্রান্টার হিসেবে আছি। কিন্তু এখন সে কোনো মহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/আইআই