মনপুরায় প্রকল্পের কাজ না করে অর্থ লুটপাটের প্রক্রিয়া চলছে


প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ৩০ জুন ২০১৫

ভোলার মনপুরায় ৩০ জুন অর্থ বছরের শেষ সময়ে কাজ না করেই কাবিটা, কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের কয়েক কোটি টাকা উত্তোলন ও লুটপাটের প্রক্রিয়া চলছে। বিশেষ বরাদ্দ এনে কাজ না করে টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, টাকা ওদের হাতে না দিয়ে আমাদের অ্যাকাউন্টে রাখবো। কাজ করার পর টাকা দেয়া হবে। কাবিটা ৯৬ লাখ টাকা ও বিশেষ টিআর ৫১ প্রকল্পের দেড়শ টন চালের বিপরীতে টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে।

অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআইও) জানান, মনপুরার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ১২টি মাটির রাস্তা সংস্কারের জন্য ৯৬ লাখ টাকা কাবিটা প্রকল্পে বরাদ্দ তদবির করে আনা হয়েছে। অর্থ বছর শেষ হচ্ছে বিধায় ওই টাকা দেয়া হলেও তাদের কাছ থেকে সম টাকার পে-অর্ডার রাখা হচ্ছে। এটা কোনো বিধান বা নিয়ম কী না প্রশ্নের উত্তরে ওই প্রকল্প কর্মকর্তা এড়িয়ে যান।  

উত্তর সাকুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন এমন বিশেষ বরাদ্দ এনেছেন। টাকা তুলে নিলেও পরে কাজ করবেন। অপরদিকে দুলাল ডিলার, জাফর হাজি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন হেলালসহ ৩ জন ১৫৩ মেট্রিকটন চাল/গমের বিপরীতে টাকা এনে কাজ না করে টাকা উত্তোলন করেন। এ টাকার বিপরীতে হাজিরহাট ইউনিয়নে ৩৯টি ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ১২টি প্রকল্প দেখানো হয়েছে।

গত বছরো ভুয়া মসজিদ, মাদ্রসা, মক্তব দেখিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ৩শ টন খাদ্য এনে তা কাজ না করে তুলে নেয় একটি চক্র। এ বছরও একই ধাচে বরাদ্দ এনে তা লুটপাট করা হচ্ছে।

অমিতাভ অপু/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।