রূপা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের দিন পেছাল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৭:২৯ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের দিন পেছালো। সোমবার এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় ২২ নভেম্বর এর আগামী দিন ধার্য করা হয়েছে। বেলা ১২টায় এ দিন ধার্য করেন আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি একেএম মো. নাছিমুল আখতার জানান, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত মধুপুর অঞ্চল থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হয়। মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান। বিচারক মো. আব্দুল মান্নান ছুটিতে থাকায় এর দিন পিছিয়ে আগামী ২২ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের সহায়তায় ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে।

পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন।

২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।

তারা প্রত্যেকেই আদালতে হাজির হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছে। ৩১ আগস্ট রূপার মরদেহ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাঁরাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

১৫ সেপ্টেম্বর নিহত রূপার দাঁত ও পরিধেয় বস্ত্র ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ১৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল।

আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।