ভান্ডারিয়া পোস্ট অফিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পোস্ট অফিসের দুর্নীতি চরমে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানকার পোস্ট মাস্টার ও অফিস স্টাফদের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রিকৃত চিঠিসহ মূল্যবান পার্সেল গায়েব করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, গত ২ জুন উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের ১০২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমাদুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়মের একটি তদন্ত প্রতিবেদন ভান্ডারিয়া পোস্ট অফিসের মাধ্যমে জিইপি করে বরিশাল বিভাগীয় শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়। কিন্তু পোস্ট অফিসের রেজিস্ট্রিকৃত ওই মূল্যবান তদন্ত প্রতিবেদনের চিঠিটি রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে।
অভিযোগ উঠছে পোস্ট মাস্টার শিল্পী রানী ও অফিস স্টাফ সেকান্দার আলী প্রতিপক্ষের যোগসাজশে ম্যানেজ হয়ে ওই প্রতিবেদন চিঠি গায়েব করেন। রেজিস্ট্রিকৃত চিঠির রশিদ নং ২০৬। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের গ্যারান্টি যুক্ত দ্রুত ডাক সার্ভিসের মাধ্যমে এই চিঠিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাওয়ার কথা থাকলেও তিন সপ্তাহেও চিঠিটি সঠিক স্থানে না পৌঁছলে প্রেরক গত ১৭/৬/১৫ তারিখ বরিশাল পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বিভাগীয় অফিসের চাপে ওই টিঠির একটি কপি পিরোজপুর জেলা পোস্ট অফিস থেকে ছাড়া হয় (রশিদ নং-০৬) বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া পোস্ট মাস্টার শিল্পী রানী জাগো নিউজকে জানান, গত ২ জুন রেজিস্ট্রিকৃত চিঠি ছাড়লে সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে পৌঁছাবে, নয়তো চিঠি পুনরায় ফেরত আসবে। কিন্তু এ চিঠিটি ফেরত আসেনি, তবে চিঠিটি কর্তৃপক্ষ অর্ডিনারি চিঠি হিসেবে পেয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত নই। ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
অভিযুক্ত পোস্ট অফিস স্টাফ সেকান্দার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, চিঠিটি হারিয়ে গিয়েছিল। পরে শুনেছি চিঠি পেয়েছে। এ বিষয়ে নিউজ করা হলে মামলার হুমকি ধামকি দেখানো হয়।
জেলা পোস্ট অফিসের পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। জেলা পোস্ট অফিস থেকে পরে আবার চিঠি ছাড়া হয়েছে কী না আমার জানা নেই। এটা শিক্ষা অফিস ভালো বলতে পারবে।
হাসান মামুন/এমজেড/এমআরআই