ঢেউয়ের ঝাপটায় সৈকত লণ্ডভণ্ড


প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ৩০ জুন ২০১৫

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা ভয়াবহ বালুক্ষয়ের মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।  গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উত্তাল সাগরের বিক্ষুদ্ধ ঢেউয়ের ঝাপটায় সৈকতের বালু সরে যাওয়ায় তীরবর্তী সবুজ বনাঞ্চল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।  অব্যাহত বালুক্ষয়ের ফলে ইতোমধ্যে সৈকতের বিভিন্ন দর্শনীয়স্থান সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  ক্রমে পাল্টে যাচ্ছে চির চেনা কুয়াকাটার দৃশ্যাবলী।

কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য অবলোকন করা যায়।  এ কারণে শীত, গ্রীস্ম ও বর্ষা সব ঋতুতেই স্থানটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকে।



সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটার জিরোপয়েন্ট থেকে পূর্বদিকে সারিসারি নারিকেল, ঝাউ, তাল বাগানসহ সবুজ বনাঞ্চল রয়েছে।  অস্বাভাবিক জোয়ারে ওই গাছের গোড়া থেকে বালু সরে গিয়ে অধিকাংশই কাত হয়ে পড়েছে।  এছাড়া সৈকতের লাগোয়া কুয়াকাটার জাতীয় উদ্যানের ঝাউ গাছগুলো ঢেউয়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

এদিকে অব্যাহত বালুক্ষয়ের ফলে প্রতিবছরই সৈকতের বিপণি-বিতানগুলো সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে মালিক কর্তৃপক্ষ।  জোঁয়ারের সময় পর্যটকরা সৈকতের বেলাভূমিতে নামতে পারছে না।  এ অবস্থায় স্থানীয় ও পর্যটকদের দাবি সাগরের ভাঙনের হাত থেকে সৈকতকে রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।  তা নাহলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়বে বলে তারা মনে করেন।



এখানে আসা পর্যটক মো. আকতার হোসেন জানান, এর আগেও কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। আগের ও আজকের কুয়াকাটা সৈকতের কোথাও মিল খুঁজে পাচ্ছি না।

কুয়াকাটার উন্নয়ন কর্মী ও সাংবাদিক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, সাগরের অব্যাহত ঢেউয়ের তাণ্ডবে বিচ এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।  তবে কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (কলাপাড়া) প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, বিচ পরিদর্শন করা হয়েছে।  কুয়াকাটার বিচ রক্ষায় একটি ডিজাইন করা হবে।  প্রথম পর্যায়ে ১ কিলোমিটার এরিয়ায় এ ডিজাইনের কাজ পরীক্ষামূলক ভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।