বরিশাল পুলিশে পদোন্নতি পেতে ঘুষ : ১০ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত
বরিশালে পদোন্নতি পেতে ঘুষের তহবিল গঠন করায় মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩ সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) ১০ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘুষের তহবিল গঠনের অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সদর দফতরের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় সোমবার তাদের বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়। এখন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সাময়িক বরখাস্তরা হলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনিসুজ্জমান, মো. মনির হোসেন ও আবু হানিফ, নায়েক কবির হোসেন, কনস্টেবল শহীদুল ইসলাম, বাবুল হালদার, আব্বাস উদ্দিন, আরিফুর রহমান, তাপস কুমার মন্ডল ও দোলন বড়াল।
এদের মধ্যে এএসআই আনিসুজ্জামান, নায়েক কবির হোসেন ও কনস্টেবল বাবুল হালদারের নামে ডাচবাংলা ব্যাংকের বরিশাল শাখার একটি হিসেবে ঘুষের ১৭ লাখ টাকা জমা রয়েছে। পদোন্নতিতে আগ্রহী ২৩০ সদস্যের মধ্যে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে ইতিমধ্যে ৭৭ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযুক্তরা পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটির কাছে বলেছেন। বাকি টাকা কোথায় কীভাবে আছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বরে মেট্রোপলিটনে কর্মরত কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যন্ত প্রায় ৮০০ সদস্য পদোন্নতি পরীক্ষা দেন। এদের মধ্যে ৩৩২ জন পদোন্নতি পান। যার ২৩০ জনই কনস্টেবল। পদোন্নতি পেলেও তাদের পদায়নের কোনো জায়গা ছিল না। তাই পুলিশ সদর দফতরে প্রস্তাব আকারে পড়ে থাকা বরিশাল মেট্রোপলিটনের জনবল কাঠামো পাশের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ে দেয়ার জন্যই তারা এ ঘুষের তহবিল করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে মঙ্গলবার সকালে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে পুলিশ সদর দফতর আদায় করা টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে আর কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য জড়িত কী না তা অধিকতর তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এই তদন্তে আর কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, এই তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-কমিশনার (সদর) শোয়েব আহাম্মদ।
সাইফ আমীন/এমজেড/পিআর