গাজীপুরে গুলিসহ দুই ডাকাত গ্রেফতার
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর কামারপাড়া এলাকার একটি প্রাইভেটকার থেকে লুট হওয়া মালামালসহ দুই আন্ত:জেলা ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আটকরা হলেন, কুমিল্লার লাকসাম থানার ভান্নাঘর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মানিক হোসেন (২০) ও তুরাগ থানার কামারপাড়া পাটুনিয়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে সাগর (২০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ জানান, ১৬ জুন টঙ্গীর কামারপাড়া এলাকার ব্রিজের কাছে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি প্রাইভেটকার ৯-১০ জন দুর্বৃত্ত ভাঙচুর করে। দুর্বৃত্তরা ওই গাড়ি ভাঙচুর করে গরীব অ্যান্ড গরীব কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হকের লাইসেন্স করা গুলিভর্তি পিস্তল, ট্যাব, নগদ ২লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তা টঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কালীগঞ্জের উলুখোলা এলাকার বোনের বাড়ি থেকে ২৭ জুন বিকেলে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত মানিককে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কশবা এলাকা থেকে পরদিন সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও ট্যাব উদ্ধার করা হয়। পরে উভয়ের দেয়া তথ্য মতে মৌলভীবাজারের জুরী থানার পাচিরপুর এলাকায় অভিযুক্ত রাসেলের নানার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লুণ্ঠিত পিস্তলের ৬ রাউন্ড গুলি, পিস্তলের কভার, দামী হাত ঘড়ি উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় অভিযুক্ত রাসেলেকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ আরো জানান, পালিয়ে থাকা অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তরা সবাই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা প্রায়ই এলাকায় ডাকাতিসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে আসছে।
টঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জানান, পালিয়ে থাকা বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতার হওয়া মানিক কালীগঞ্জ এলাকায় চা বিক্রি করতো এবং সাগর টঙ্গীর নিশাতনগর এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকুরি করতো। আত্মগোপনে থাকা রাসেলের প্ররোচনায় ও অধিক টাকা আয়ের প্রলোভনে পড়ে এ পেশায় নামে গ্রেফতারকৃতরা। ওই ঘটনায় মানিক ৫ হাজার টাকা ও সাগরকে ১৫ হাজার টাকা বকশিস দেয় রাসেল।
মো. আমিনুল ইসলাম/এসএস/আরআই