সিলেটে টিলায় ধস, চার মাদরাসাছাত্রসহ নিহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৫:৩২ এএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৭

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথরকোয়ারিতে বাংলাটিলা ধসে চার মাদরাসাছাত্রসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক মাদরাসাছাত্র।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভারতের মেঘালয় রাজ্য ও বাংলাদেশের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বাংলাটিলায় পাথর কুড়াতে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।

ওই এলাকার ডাউকেরগুল মাদরাসার বার্ষিক জলসার (ওয়াজ মাহফিল) টাকা সংগ্রহের জন্য মাদরাসা ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা পাথর কুড়াতে গেলে টিলার একটি অংশ তাদের ওপর ধসে পড়ে বলে জানিয়েছেন লোভাছড়া আর্দশ পাথর সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম।

নিহতরা হলেন- কানাইঘাট হারিছ চৌধুরী একাডমির ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র জাকির আহমেদ (১৩), কানাইঘাট উপজেলার কোনা কানধলা গ্রামের আবদুল মছব্বিরের ছেলে মাদরাসাছাত্র মারুফ আহমেদ (১৩), একই গ্রামের আলমাস উদ্দিনের ছেলে মাদরাসাছাত্র নাহিদ আহমদ (১২) তার যমজ ভাই শাকিল আহমেদ, আয়না মিয়ার ছেলে মাদরাসাছাত্র আবদুল কাদির (১৩)।

এছাড়া তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে বাংলাটিলা এলাকার সুন্দর আলী (৪০) টিলাছাপায় নিহত হন। মাদরাসাছাত্র মাহফুজুর রহমানকে গুরুতর আহতাবস্তায় উদ্ধার করে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন ডাউকেরগুল মাদরাসার ছাত্র এবং একজন কানধলা মাদরাসার ছাত্র। অপরজন স্কুলছাত্র।

কানাইঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আহাদ জানান, বাংলা টিলা ধস হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে মাদরাসা ও স্কুলছাত্র রয়েছে। নদীর পাড়ের দুর্গম ওই এলাকাটিতে এরই মধ্যে পুলিশ পৌঁছে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করেছে।

এছাড়া খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিয়া সুলতানা। তিনি উদ্ধার তৎপরতা তদারকি করছেন।

এদিকে, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় পাঁচ ছাত্রসহ ছয়জনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের সবার বাড়ি দুর্ঘটনাস্থলের পাশের গ্রামে হওয়ায় টিলা এলাকায় নিতদের সহকর্মী, মা-বাবা আত্মীয় স্বজনরা কান্নাকাটি করছেন।

ছামির মাহমুদ/এএম/জেআইএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।