মির্জাপুরে উৎপলের সন্ধান পাওয়া যায়নি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৭

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের একটি হাসপাতালে অপহৃত সাংবাদিক উৎপল দাস চিকিৎসাধীন আছেন। এমন খবরের গুজব ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বিভিন্ন হাসপাতালে নিখোঁজ সাংবাদিক উৎপল দাসের সন্ধান করেও তার সন্ধান পায়নি। স্থানীয় সাংবাদিকরা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর এবং আশপাশের কমপক্ষে ১০টি ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে তাকে পায়নি ।

এছাড়া থানা পুলিশও সন্ধান চালিয়ে তার কোনো অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি বলে জানা গেছে।

রোববার পুলিশের এসআই মনির পরিচয় দিয়ে (০১৭৯৪৮৮২৯৮৬) নম্বর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানান, উৎপল মির্জাপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। টাকা নিয়ে এসে তার উন্নত চিকিৎসার করানোর কথা বলেন। রাত পৌনে আটটার দিকে ওই নম্বরে যোগাযোগ করা কলে তিনি নিজেকে রিপন পরিচয় দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেন।

জানা গেছে, রোববার বিকেলে উৎপল তার বাবা চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে মির্জাপুরের একটি হাসপতালে তার অবস্থানের কথা জানালে তা তিনি মতিঝিল থানায় জানান বলে মির্জাপুর থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক জানিয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, উৎপলের বাবা মতিঝিল থানাকে জানিয়েছেন উৎপল ফোন করে তাদের জানিয়েছে, তিনি মির্জাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি মতিঝিল থানা পুলিশ মির্জাপুর থানাকে জানালে মির্জাপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন হাসপাতালে তল্লাশি চালানো শুরু করে।

গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর মতিঝিলের একটি অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের রিপোর্টার উৎপল। তিনি ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার রাধানগরে।

সংবাদিক উৎপলের নিখোঁজের ঘটনায় অনলাইন নিউজ পোর্টালটির পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় জিডি করা হয়েছে। উৎপলের বাবাও একই থানায় আরেকটি জিডি করেন।

নিখোঁজের পর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। তবে ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে তার মোবাইল নম্বর থেকে কল আসে বাবা চিত্তরঞ্জনের কাছে। প্রায় ৮ মিনিট কথা বলার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

এ তথ্য জানিয়ে উৎপলের বাবা গণমাধ্যমকে জানান, হঠাৎ ওই নম্বর থেকে কল করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।