স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০২:০৬ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৭

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় ফেরদৌস আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রবাসী স্বামী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বিকেলে উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খোরশেদ আলম ওই গ্রামের মো. ফখরুদ্দীনের ছেলে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামের মো. ফখরুদ্দীনের ছেলে শাহ আলমের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী চাটিতলা গ্রামের প্রবাসী বেলাল হোসেনের মেয়ে ফেরদৌস আক্তারকে বিয়ে করেন স্বামীর ছোট ভাই (দেবর) খোরশেদ আলম।

বিয়ের কয়েক বছর পর খোরশেদ ওই গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ৪ মাস আগে সৌদিআরব থেকে দেশে এসে খোরশেদ ফের পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে স্ত্রী ফেরদৌস আক্তারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই ছিল খোরশেদের। পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় খোরশেদ প্রায় স্ত্রীকে মারধর করতো।

ওই গৃহবধূর চাচা মো.ওমর ফারুকসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেন, খোরশেদ শুধু পরকীয়া প্রেমই করতো না, সে ছিল মাদকসেবী। শনিবার সকালে এসব বিষয় নিয়ে ফেরদৌসকে কয়েক দফা পেটায় খোরশেদ। তার পেটে লাথিও মারে। এতে বিকেলে তার মৃত্যু হয়েছে। ফেরদৌসের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে তার পরিবার দাবি করেছেন। ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম।

এ বিষয়ে নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, আমরা ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছি। রোববার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হবে।

মো. কামাল উদ্দিন/এএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।