সেই তেলের ড্রামে কোকেন
চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আসা আটক সেই তেলের ড্রামে কোকেনের প্রমাণ মিলেছে। শনিবার ল্যাব টেস্ট শেষে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়েছে। দুটি পরীক্ষাগারে পৃথকভাবে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মঈনুল খান জানান, আটক ১০৭ ব্যারেল বা ড্রামের মধ্যে ৯৬ নম্বর ব্যারেলে ল্যাব টেস্টে কোকেনের অস্তিত্ব মিলেছে। ওই ড্রামে ১৯৬ কেজি তরল পদার্থ রয়েছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন পদার্থ মিশ্রিত থাকায় ঠিক কী পরিমাণ তেল বা কি পরিমাণ কোকেন রয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম বন্দরে আটক বহুল আলোচিত সান ফ্লাওয়ার তেলের নামে আমদানি করা ১০৭ ড্রাম তেলের একটিতে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে সান ফ্লাওয়ার তেলের নামে আমদানি করা ১০৭টি তেলের ড্রাম আটক করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের আশংকা ও গোপন তথ্যে ভিত্তিতে এগুলো আটক করা হয়।
সান ফ্লাওয়ার অয়েল ঘোষণা দিয়ে বলিভিয়া থেকে খান জাহান আলী লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান কন্টেইনারে করে পণ্য চালানটি আমদানি করে। তবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে কে বা কারা চালানটি আমদানি করেছে।
আরএস/আরআইপি