দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ


প্রকাশিত: ০৭:৩৭ এএম, ২৬ জুন ২০১৫

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর কাজ। মাওয়া ও জাজিরার মধ্যে হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। ২০১৮ সালে দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন ও ট্রেন এ কর্মপরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে সবকিছু। দিন-রাত কাজ করছেন প্রায় তিন হাজার দেশি বিদেশি শ্রমিক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করতে চলছে এ মহা কর্মযজ্ঞ। সেতুটি   মাওয়া-চৌরাস্তা বরাবর নির্মিত হবে।

আসন্ন বর্ষায় নদীর দুই কূলে অনিয়ন্ত্রিত ভাঙন হলে বিঘ্ন ঘটতে পারে বহু কাঙ্খিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। তাই এর মধ্যে নদীর মাওয়া প্রান্তে অন্তর্বর্তীকালীন নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় জাজিরা প্রান্তে মাঝিকান্দি থেকে কাওড়াকান্দি পর্যন্ত আরও ১২ কিলোমিটার নদী শাসন করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপদ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে কূলের ভাঙনও। পদ্মা বরাবর প্রমত্তা। বর্ষায় সে রূপ হয় আরো আগ্রাসী। উত্তাল পদ্মার বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে সেতু নির্মাণ কাজ। সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্ট পাঁচটি প্রকল্পের বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে নদী শাসনের কাজ।

মূলত নদীর গতিপদ নিয়ন্ত্রণ এবং ভাঙন রোধ করাই ৮০৮৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নদী শাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তবে মাওয়া প্রান্তে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অন্তর্বর্তীকালীন কাজটি শুরু হয় এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে। এ এলাকায় ১২৫ কেজি ওজনের ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮শ কেজি ওজনের ৪১ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে।

পদ্মা সেতু নদী শাসনের প্রকল্পের প্রকৌশলী আবু জাহিদ মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, গত দু-তিন বছরের বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের ঝুঁকিটা ছিল জাজিরা প্রান্তে। কিন্তু এ বর্ষা মৌসুমে মাওয়া প্রান্তে ভাঙনের ঝুঁকিটা চলে এসেছে। এর ফলে যাতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভাঙন না হয় তার জন্য কাজ করছি।

চীনের সিনোহাইড্রো কেম্পানির প্রকৌশলী লি মিং বলেন, বর্ষায় নদীর স্রোত বেড়ে যাবে। তাই ভাঙন প্রতিরোধের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই কাজটি করছি।

নদী শাসনের পর এখন চলছে ফলাফল তদারকি। বর্ষার পর নদীর দু`প্রান্তেই আবার পুরোদমে চলবে এ কাজ। পদ্মা সেতুর পানি জরিপ পরামর্শক আবু সুফিয়ান জাগো নিউজকে বলেন, ব্লক দিয়ে যেখানে পজিশন করা হবে সেটা শক্ত মাটির উপর ও হার্ড পয়েন্টের উপর করা হবে।

মো. ছগির হোসেন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।