রোহিঙ্গাদের ১০ হাজার একর বনভূমি দেয়া হবে : বনমন্ত্রী
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, বনভূমির আংশিক ক্ষতি হলেও মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়ের জন্য সরকার সবকিছুই করবে। তিন হাজার একর বনভূমিতে জায়গা না হলে প্রয়োজনে ১০ হাজার একর বনভূমি রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।
বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন বনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সরকার যে অমানবিক আচরণ করছে তা অন্ধকার যুগকেও হার মানিয়েছে। তাদের এ বর্বর আচরণে বিশ্বসভ্যতা স্তম্ভিত।
তিনি আরও বলেন, যে মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে সে মুহূর্তে বিকল্প উপায় ছিল না। রোহিঙ্গারা আশ্রয় না পেলে ঝোঁপঝাঁড় ও নাফ নদীতে লাশের মিছিল দীর্ঘ হতো।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে বন উজাড় ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী বলেন, ক্ষতি কিছুটা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ হয়েছে তা এখন বলা যাবে না। আমাদের ক্ষতি হলেও মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়ের জন্য সরকার সবকিছু করছে।
এ সময় তিনি রোহিঙ্গা শিবিরে সেনা মোতায়েনের ফলে ত্রাণ বিতরণসহ সকল কাজে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের প্রশংসা করেন। এ জন্য সেনা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বুধবার সকালে সড়ক পথে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় কাটান। এ সময় খোঁজ খবর নেন রোহিঙ্গাদের খাবার, স্যানিটেশন, চিকিৎসাসেবার। বনমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক এমপি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ।
জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-বসতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত বনাঞ্চল পরিদর্শন করেন।
দুপুরে টেকনাফ বন বিভাগের রেস্ট হাউজে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জগলুল হোসেন, কক্সবাজার (দক্ষিণ) বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. আলী কবির, কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ, উপকূলীয় বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, টেকনাফ বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/জেআইএম