পদ্মায় ৬ টানা ফেরি চলাচল বন্ধে তীব্র যানজট
বৈরী আবহাওয়া ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম নৌরুট শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দির পদ্মা নদী। প্রবল ঢেউয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘূর্ণিস্রোতের ফলে সৃষ্ট দুর্ঘটনা এড়াতে নৌরুটটিতে মঙ্গলবার ৬ টানা (ডাম্প) ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দুই পাড়ে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাক ও দুরপাল্লার বাসসহ শত শত যানবাহন।
এদিকে, সময়মতো নদী পার হতে না পেরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাএী।
বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, পদ্মার কবুতর খোলা চ্যানেল থেকে কাঠালবাড়ী টানিং পয়েন্ট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার নদীপথে অতিরিক্ত ঘূর্ণিস্রোত দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে ২৭টি যানবাহন ও দুই শতাধিক যাএী নিয়ে টানা ফেরি রানীগঞ্জ শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। ফেরিটি কাঠালবাড়ী টানিং পয়েন্টে অতিরিক্ত স্রোতের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে তারপাশায় ভাটিতে চলে যায়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে আইটির মাধ্যমে ফেরিটি উদ্ধার করে শিমুলিয়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনার পর দুর্ঘটনা এড়াতে বেলা ২টা থেকে নৌরুটে ছয়টি টানা ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরিগুলো কাওড়াকান্দি ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
তবে ৩টি রো রো ও ৩টি কে টাইপ ফেরি দিয়ে ঘাট সচল রাখা হয়েছে। ফেরি চলাচল সীমিত হওয়ায় দুপুরের পর থেকে উভয় পাড়ে যানজট তীব্র হয়ে উঠেছে। এদিকে ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ, সিবোট ও ট্রলার চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। দুর্ঘটনা এড়াতে শিমুলিয়া ঘাটের এমএল বাদশা, মধ্যপাড়া ও মুনমুন নামের তিনটি লঞ্চ বন্ধ রাখে বন্দর কতৃপক্ষ।
মাওয়া ঘাটের মেরিন অফিসার মো. শাহজাহান জানান, পদ্মার মাঝ নদীতে অতিরিক্ত ঘূর্ণিস্রোত দেখা দিয়েছে। এ কারণে টানা ফেরি ছয়টি বন্ধ রাখা হযেছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে ফেরিগুলো পুনরায় চালু করা হবে।
এসএস/আরআইপি