বর্ষা মৌসুমে পিরোজপুরের ছাতা মিস্ত্রিদের ভালো আয়


প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ২২ জুন ২০১৫

পিরোজপুরে ছাতা মিস্ত্রিদের ব্যস্ততা বেড়েছে। কদিন আগেই শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস। ঋতু প্রক্রিয়ায় বছরের ১২ মাসের গ্রীষ্ম থেকে বসন্ত ৬ ঋতুর মধ্যে আষাঢ়-শ্রাবণ এ ২ মাস বর্ষাকাল। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ সময়ই থাকে ছোট, মাঝারি কখনও কখনও ভারি বর্ষণ। আর এতে স্কুল-কলেজ ছাড়াও অফিস আদালত থেকে শুরু করে বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের বেশি প্রয়োজন ছাতার।

খরা বা রৌদ্রের তাপ বেশি থাকলেও অনেক সময় ছাতা না থাকলেও চলাচলে তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তুু বর্ষা মৌসুমে অসুখ-বিসুখের হাত থেকে রক্ষা, বিশ্বায়নের যুগে মোবাইল ফোন সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র যাতে না ভেজে সেজন্য বেশি প্রয়োজন ছাতার। তাই বছরের ২ মাসই ছাতার ব্যবহার বেশি থাকায় অন্য সময়ে অযত্নে পড়ে থাকা ছাতার কদর এ বর্ষা মৌসুমে। তাই ছাতা মিস্ত্রিদের কাছে এনে ছাতা মেরামতের হিড়িক পড়ে যায়।

ভাণ্ডারিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ১০ জন ছাতা মিস্ত্রি রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ঘুরে ভাসমান ছাতা মিস্ত্রি কুদ্দুছ (৩২), মো. কালাম (৩৫) কবির (৩০) মো. মোস্তফার (৩৬) সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ১৩ বছর ধরে এ পেশায় আছেন তারা। এর মধ্যে আগে ভাণ্ডারিয়া বাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী রাজাপুর, কাঠালিয়ায় বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে একটু জায়গা নিয়ে কেউ চট বিছিয়ে, আবার কেউ টং পেতে ছাতা মেরামত করে প্রতিদিন ১৫শ থেকে ২২শ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।

ছাতা মিস্ত্রি মো. কালাম জানান, আগে কাঠের বাটের ছাতা ছিল এখন তা প্রায় বিলুপ্ত। তবে লোহার বাটের ছাতা সেরে কোনোটার সেলাই, বাটের হাতল, আবার কোনোটার জঙ সারাতে হলে প্রকার ভেদে ১০ টাকা থেকে উপরে ৫০/৬০ টাকাও নেই। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যে টাকা আয় হয় সেখানে খরচ বাদ দিয়ে হাজার ১২শ টাকা থাকে।

কুদ্দুস জানান, বছরের এ মৌসুমে তাদের যে আয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। বছরের বাকি সময়ে কেউ বসে থাকে আবার কেউ অন্য পেশায় কাজ করলেও তাদের মূল পেশা ছাতা মেরামত করা। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের একেক জনের একেক সিজন থাকে। ছাতা মিস্ত্রিদের বছরের এ ২ মাসকেই তাদের সিজন বলা হয়।

নুতন একটি কাঠের বাটের ছাতা কিনতে গেলে ১৮০ থেকে ২শ এবং লোহার বাটের (ছোট থেকে বড়) ২শ টাকা থেকে ৪শ টাকা লাগে। এদিকে কতিপয় ছাতা মিস্ত্রি আছেন যারা এ পেশায় অনভিজ্ঞ। তাই সেরে দিলেও কয়েকদিন পর তা আবার সারাতে আনতে হয়।

হাসান মামুন/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।