রাজশাহীতে তীব্র লোডশেডিং : নগরবাসীর ক্ষোভ


প্রকাশিত: ০৭:৫৭ এএম, ২১ জুন ২০১৫

একেতো রমজান মাস, তার উপর তীব্র তাপদাহের সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। এই অবস্থায় দিনভর সিয়াম সাধনায় যখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মুসল্লিরা তখন হচ্ছে তীব্রমাত্রায় লোডশেডিং। প্রথম রোজা থেকেই লোডশেডিং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে ক্রমেই নগরবাসীর মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ।

রোববার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নগরীর কোর্ট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। রাতেও কয়েক দফা লোডশেডিং হয়েছে। প্রায় একই অবস্থা চলছে জেলার প্রতিটি উপজেলায়।

তবে বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে রাজশাহী বিদ্যুৎ বিভাগ। তাদের দাবি, নগরীতে ১২০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সমপরিমাণ বিদ্যুতই পাওয়া যাচ্ছে। তবে গ্রিডের সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ থাকছে না। কিন্তু গ্রিডে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, সেটিও বলতে পারছেন না তারা।

রাজশাহী বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র মতে, গ্রিডের সমস্যা হলে গোটা রাজশাহীতেই বিদ্যুৎ থাকার কথা নয়। কিন্তু রাজশাহীতে এলাকা ভিত্তিক বিদ্যুতের সমস্যা গত কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলেছে। ফলে বিদ্যুৎ বিভাগের দেয়া তথ্য বিভ্রান্তিকর বলেও মনে করছেন গ্রাহকরা। তাদের দাবি বিদ্যুৎ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ লুকোচুরি করছে। তারা লোডশেডিং সমস্যা আড়াল করতেই হয়তো জাতীয় গ্রিডের সমস্যার কথা বলছে।  

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মহানগরীর কুমারপাড়া, টিকাপাড়া, রামচন্দ্রপুর, হড়গ্রাম, রাণীবাজার, হেতেম খাঁ, নতুন বিলশিমলা, কলাবাগান, কাদিরগঞ্জ, শালবাগান, শিরোইল, আসাম কলোনী, ছোটবনগ্রাম, পদ্মা আবাসিক ও হাজরা পুকুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাতে সময়ে-অসময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং করা হচ্ছে। জেলার উপজেলাগুলোতেও একই অবস্থা।

বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরীর কোর্ট এলাকার বাসিন্দা সাকিব মুক্তাদির জাগো নিউজকে বলেন, রোজার প্রথম দিনই তারাবির নামাজ ও সেহরিতে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়। ওইদিন দু`বারে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবারহ ছিল বন্ধ। এতে তীব্র গরমে তারাবিতে কষ্ট হয়েছে আর অন্ধকার পরিবেশে খেতে হয়েছে সেহরি।

নগরীর টিকাপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তারাবির নামাজ আর সেহরির সময় লোডশেডিং হবেই তার এলাকায় বলে তিনি জানান।

তবে রমজানে কোনো লোডশেডিং নেই দাবি করে রাজশাহী পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তারাবি, ইফতার এবং সেহরির সময় লোডশেডিংয়ের প্রশ্নই ওঠে না। এসময়গুলোতে অন্তত বিদ্যুৎ সরবরাহ সঠিকভাবে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গ্রিডের কিছু সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে এমনটা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।  

শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।