খুলনাঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া : সবজী চাষিদের মাথায় হাত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে খুলনাঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার ভোর থেকে শুরু হওয়া হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়া সোমবার দুপুরের পরও বয়ে চলেছে। একইসঙ্গে মংলা বন্দরের অদূরে গভীর সমুদ্র উত্তাল রয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অতিবৃষ্টির কারণে আমন ধানের উপকার হলেও শীতকালীন সবজির জন্য মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুলনার ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার কৃষকগণ।
কয়রা উপজেলার মসজিদকুড় গ্রামের কৃষক আবু রায়হান মাসুদ, আব্দুল আলিম, শহিদুল ইসলাম জানান, গত মাসে খুব কম বৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আমন ধানের খেতে পানির অভাব দেখা দেয়। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হলেও শীতকালীন সবজি খেত ক্ষতির মুখে পড়েছে। অতি বৃষ্টিতে বীজতলায় পানি জমে গেছে। এতে সবে গজিয়ে ওঠা সবজি ইতোমধ্যে পঁচে যেতে শুরু করেছে। ভারী বর্ষণের কারণে খুলনা মহানগর এলাকার অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যা মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে।
তিনি জানান, রোববার বেলা ৩টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মংলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া-বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার সরোয়ার হোসেন বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। মংলা বন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। ৩ নম্বর সংকেত পর্যন্ত বন্দরে কার্যক্রম চলে। ৪ নম্বর হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আলমগীর হান্নান/এফএ/এমএস