মালয়েশিয়ায় নিহত রশিদের দাফন গ্রামের বাড়িতে সম্পন্ন


প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ১৮ জুন ২০১৫

মালয়েশিয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আবদুর রশিদের (৩৫) মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার চরগোসাইপুর গ্রামে তার মরদেহবাহী গাড়িটি এসে পৌঁছায়। পরে বিকেলে তাকে পারবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহতের ফুফাতো ভাই হাজী রজব আলী জাগো নিউজকে জানান, চরগোসাইপুর গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে আবদুর রশিদ তিন বছর আগে মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে ব্লুব্রোস নামের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে তিনি কাজ শুরু করেন। কিছুদিন আগে কাজ নিয়ে রশিদের সঙ্গে তার দুই সহকর্মী ও প্রতিবেশি সমুন মিয়া এবং জাহাঙ্গীর হোসেনের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।

বিরোধের জেরে গত ১১ জুন সুমন ও জাহাঙ্গীর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন হাজী রজব আলী। সুমন মিয়া ও জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি চরগোসাইপুর গ্রামে। তারাও মালয়েশিয়ায় রশিদের সঙ্গে একই কোম্পানিতে কাজ করতেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে, রশিদের মৃত্যুতে চরগোসাইপুর গ্রামে শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহবাহী বাড়িতে এসে পৌঁছার পর সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তার মা হেলাত বেগম। আর স্বামীকে হারিয়ে পাগল প্রায় তিন সন্তানেন জননী শামছুন্নাহার।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা জাগো নিউজকে বলেন, যেহেতু হত্যাকাণ্ডটি মালয়েশিয়ায় ঘটেছে সেহেতু বাংলাদেশে এ ঘটনায় মামলা দাযেরের কোনো বিধান নেই। তবে নিহতের পরিবার যদি মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে অভিযোগ করে তাহলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।