নওগাঁয় বৃষ্টি উপক্ষো করে আউশ ধান লাগানো হচ্ছে
বৃষ্টি বাদলের মধ্য দিয়ে বোরো ধান ঘরে তোলা শেষ। ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষক হতাশায় ভূগছেন। লোকসান থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কৃষক আউশ ধান লাগানো শুরু করেছে।
তবে বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের খরা এখনো কাটেনি। এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচ নির্ভর কৃষিকাজে কৃষকদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের জমিগুলোতে প্রচুর সেচের প্রয়োজন হয়। আশানুরূপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচ নির্ভর কৃষিকাজে কিছুটা বিপাকেই পড়তে হচ্ছে চাষীদের। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গভীর নলকূপ দিয়ে সেচ কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৬০ হাজার ৭৩ হেক্টর জমিতে আউশ ধান রোপন করা হবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ও কৃষকদের উৎসাহ দিতে ইতোমধ্যে সরকারি আউশ প্রণোদনা দেয়া শেষ হয়েছে। এখন কৃষকরা পুরোদমে মাঠে কাজ করছেন। ব্রিআর-২১, ব্রি-২৮, জিরা শাইল, পারিজা, সুন্দর মনি, নয়ন মনি জাতের আউশ ধান চাষ করা হবে বলে জানা গেছে।
জেলার মান্দা উপজেলার কৃষক মুনছুর আলম জাগো নিউজকে জানান, বোরো ধানের দাম এখন সাড়ে ৬শ থেকে ৭শ টাকা। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা বিক্রি করতে পারছি না। এতে কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে উঠতে নিচু জমিতেও আউশ ধান লাগাবেন বলে তিনি জানান।
এছাড়াও কৃষক এরশাদ, আফছার, জসিম, ইয়াছিন আলী জানান, আউশ ধান চাষে খরচ খুবই কম। বিঘা প্রতি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। আউশ ধান চাষে জমিতে সার, কীটনাশক ও শ্রমিক খরচ বোরোর তুলনায় অনেক কম। আবহাওয়া ভালো থাকলে স্বল্প সময়ে শুকনো অবস্থায় এ ধান ঘরে তোলা যায়। পারিজা জাতের ধান চাষ করছেন বলে জানান তারা।
এমজেড/এমএস