নেত্রকোনায় কৃষক হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন


প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ১৫ জুন ২০১৫

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দূর্গাপুর উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের কৃষক খোকন মিয়াকে (৩২) নৃশংশভাবে কুপিয়ে হত্যার রায় দিয়েছেন আদালত।  এ রায়ে মামলার ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং মামলার অপর ৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত।  

অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্দুল হামিদ সোমবার দুপুর ১২টায় জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।  সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, তেলীপাড়া গ্রামের মৃত রজব আলী ওরফে হাছু মিয়ার দুই ছেলে আ. ছাত্তার (৩৬) ও লাল মিয়া (৩৮), মৃত হাদিছ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, সাহেব আলীর ৩ ছেলে বাবুল মিয়া (২৬), সুরুজ মিয়া (২৪) ও হাবিবুর রহমান।  খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, সাহেব আলী (৮০), নূরেছা খাতুন (৪৬) ও মনোয়ারা খাতুন (২৭)।

আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, তেলীপাড়া গ্রামের ছাত্তার মিয়ার ছেলে খোকন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের হাছু মিয়ার ছেলে লাল মিয়ার জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল।  এরই জের ধরে ২০০৭ সালের ৭ আগষ্ট  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ দখলীয় জমিতে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষাবাদ করার সময় উল্লেখিত আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খোকন মিয়াকে মারাত্মক জখম করেন।  তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।  

এ ব্যাপারে নিহতের চাচা মো. আ. জলিল বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে দূর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।  

বিজ্ঞ বিচারক ১১ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহনান্তে ৬ আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মামলার অপর ৩ আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।  

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতি. পিপি মো. সাইফুল আলম প্রদীপ, আর আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সুভাষ বনিক অজয়।

কামাল হোসাইন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।