কথা রাখলেন না ঠাকুরগাঁওয়ের এমপি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সম্প্রতি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে ফুঁসে উঠেছিল ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার মানুষ। ওই সময় বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সাধারণ মানুষ।

চলতি বছরের ১৭ জুন পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর-পার্বতীপুর রুটে ব্রডগেজ লাইনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক একতা এবং দ্রুতযান নামে দুটি শাটল ট্রেন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরই ঠাকুরগাঁওয়ের বিক্ষিপ্ত জনতা শাটল ট্রেনের পরিবর্তে আন্ত:নগর ট্রেনের দাবিতে রেল পথ অবরোধ করেন। এ সময় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেনটি ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনে আটকে দেয় জনতা।

পরে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ইয়াসিন আলী ৩ মাসের মধ্যে জেলায় আন্তঃনগর ট্রেন চালু করার আশ্বাস দিলে অবরোধ ও আন্দোলন স্থগিত করে সাধারণ মানুষ।

কিন্তু আশ্বাসের তিন মাস পার হয়ে গেলেও ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে আন্ত:নগর টেন চালুর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ লক্ষ্য করা যায়নি। বরং গত ১ মাস যাবত দুই জেলায় সকল প্রকার ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে হতাশ আন্ত:নগর ট্রেন চালুর দাবিদার সাধারণ মানুষ ও ঠাকুরগাঁও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতারা।

ঠাকুরগাঁও রোড এলাকার ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন জানান, দীর্ঘ সাত বছর ধরে অপেক্ষায় আছি কবে আন্ত:নগর ট্রেন চালু হবে। সরকার এত কোটি টাকা ব্যয়ে রেললাইন নির্মাণ করল কিন্তু এখন ট্রেন চালু হলে নাকি লোকসান গুণতে হবে সেই অজুহাতে আন্ত:নগর ট্রেন চালু হচ্ছে না ঠাকুরগাঁওয়ে। ফলে ‘আশা যেন মরীচিকায়’ পরিণত হয়েছে আমাদের।

thakurgaon1

ঠাকুরগাঁও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা বিশাল রহমান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘ঠাকুরগাও ৩ এর মাননীয় সংসদ সদস্য আন্ত:নগর ট্রেন কোথায়? ৩ মাস সময় নিয়েছিলেন। আজ ৩ মাস পূর্ণ হলো। ট্রেন না পেলে আপনি এলাকায় অবাঞ্চিত। আপনাকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে।

এ বিষয়ে এমপি ইয়াসিন আলীর কাছে জানতে চাইতে তিনি বলেন, হঠাৎ বন্যায় দেশের অনেক রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরামত করা হলে পরবর্তীতে আন্ত:নগর ট্রেন চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রসঙ্গ, সরকার ৯৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১০ সালের অক্টোবরে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থেকে ঠাকুরগাঁও হয়ে পঞ্চগড় পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটারের মিটার গেজ রেলপথকে আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও ডুয়েল গেজে রূপান্তরের কাজ শুরু করে।

২০১৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুবার নির্মাণকাজের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ করার অঙ্গীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা ও ম্যাক্র কনস্ট্রাকশন।

কিন্তু এ কাজ শেষ করতে প্রায় সাত বছর লেগে যায়। শেষ হওয়ার পরও এ রুটে ঢাকাগামী ব্রডগেজ লাইনের ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব হয়নি।

রবিউল এহসান রিপন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।