কুষ্টিয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১১:১৬ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

র‌্যাবের অভিযানে কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় তিন পরিবহন শ্রমিককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের জরুরি যৌথ সভায় এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।

বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজগর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বাবলু, কুষ্টিয়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেস আলী, ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি আলী আকবর ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সভায় বলা হয়, র‌্যাব সদস্যরা প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের গ্রেফতার না করে নিরপরাধ পরিবহন শ্রমিকদের গ্রেফতার করে বার বার হয়রানি করছে। একই সঙ্গে যে বাসে মাদক পাওয়া যাচ্ছে দিনের পর দিন সেই পরিবহন আটকে রাখা হচ্ছে। এতে করে মালিক-শ্রমিক উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সভায় অবিলম্বে গ্রেফতার তিন পরিবহন শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।

প্রসঙ্গত র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের সদস্যরা শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে (১৫ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী বিবিএস এক্সক্লুসিভ মাহাদী পরিবহন রেজিস্ট্রেশন নং (কুষ্টিয়া-জ-১১-০০১১) নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে বাসের টুলবক্সের মধ্যে থেকে কোটি টাকা মূল্যের ১ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাব সদস্যরা বাসের চালক কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত পটলের ছেলে সোহেল রানা (৩২), সুপারভাইজার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ফকিরাবাদ নওদাপাড়া গ্রামের ঠান্টু (৩৬) ও বাসের হেলপার একই এলাকার হালসা খেুঁজুরতলা গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে সাগরকে (২২) গ্রেফতার করে।

শনিবার সকালে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনটের কমান্ডার মেজর রবিউল ইসলাম র‌্যাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতাররা এভাবে বাসে করে কুষ্টিয়াসহ আশে পাশের জেলায় হিরোইনের চালান আনা-নেয়া করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিটি চালানের জন্য গ্রেফতাররা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পার্টির কাছ থেকে পেয়ে থাকে।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুল হোসেন বলেন, আমরাও মাদকমুক্ত সমাজ চাই। কিন্তু প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়ে নিরাপরাধ শ্রমিকদের গ্রেফতার করে বার বার হয়রানি করা হবে এ অন্যায় মেনে নেয়া যায় না। যে কারণে আমরা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।

আল-মামুন সাগর/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।