দলীয় কর্মীদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী খুন
সিলেট মহানগরের শিবগঞ্জে ছুরিকাঘাত করে জাকারিয়া মোহাম্মদ মাসুম (২০) নামে দলীয় এক কর্মীকে খুন করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শিবগঞ্জ লামাপাড়া সৈয়দ হাতিম আলী মাজারের পাশের গলির রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুম জগন্নাথপুরের সৈয়দপুরের বুধরাইল গ্রামের আনছার মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর সোবহানীঘাটে আলী আহমদ মাহিন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করেন মাসুমসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। এর জের ধরে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রথমে মাসুমের ছোট ভাই খালেদকে শিবগঞ্জের লামাপাড়ার একটি বাসায় আটকে রাখা হয়।
পরে প্রতিপক্ষের কর্মীরা মাসুমকে মোবাইলফোনে জানায় তার ভাইকে আটকে রাখা হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তি করে ছোট ভাইকে নিয়ে যেতে বলে তারা। মাসুম ছোট ভাইকে আনতে শিবগঞ্জ লামাপাড়া সৈয়দ হাতিম আলী মাজারের পাশের গলির রাস্তায় গেলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের মাহিন গ্রুপের কর্মীরা তার ওপর চড়াও হয়। এলোপাতাড়ি কিলঘুষির পর পরই তাকে উপর্যুপরি ১৮টি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে মাসুম রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে হামলাকারীরা মাসুমকে লাথি দিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৩য় তলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলাকারী মাহিন ছাত্রলীগের টিটু-ডায়মন্ড গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগ নেতা টিটু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নিহত ছাত্রলীগ কর্মীর বাবা আনছার আলী বলেন, ছোট ভাই খালেদ এক্সিডেন্ট করেছে বলে তাকে ডেকে নেয় খুনিরা। সেখানে মাসুম যাওয়ার পর তাকে প্রায় ১৮ বার ছুরিকাঘাত করা হয়। এর মধ্যে পেট থেকে উরু পর্যন্ত অন্তত ১০টি আঘাত রয়েছে। হামলাকারীদের তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করছে। আমি ছেলের খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার চাই।
শাহপরাণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গেছে। খুনিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ চলছে। নিহতের পরিবার এজাহার দেয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস