ভোলায় ট্রলার ডুবি : তদন্ত কমিটি গঠন
ভোলার মনপুরায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও ত্রুটিপূর্ণ ট্রলার চালানোকে দায়ী করা হয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও ত্রুটিপূর্ণ ট্রলার চালানোর অভিযোগে ট্রলারের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। ট্রলারের স্টাফ সুমনকে আটক করা হয়। পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ট্রলার চালানো হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কলাতলির চর থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি মনপুরায় ফিরছিল। ওই সময় অতিরিক্তি যাত্রী বহন ও ফাটল ট্রলারটি ঝড়ের শুরুতেই ডুবে যায়। ট্রলারটির একটি ছিদ্র মাটি দিয়ে ঢাকা ছিল। মাটি ধুয়ে যেতে তা দিয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকে।
স্থানীয়রা ৮টি মরদেহ তোলার কথা জানালেও জেলা প্রশাসক ও কোস্টগার্ড ৬টি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩ জন নিখোঁজ থাকার তালিকা পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, কোস্টগার্ড বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে আর কোন নিখোঁজ যাত্রী নেই দাবি করে ট্রলার উদ্ধার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি টিম উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, কতজন নিখোঁজ তা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। কারণ বিভিন্ন চর থেকে আসা যাত্রীরা ওই ট্রলারে ছিল। অনেক যাত্রী ভেসে যেতে পারে।
স্বামীর সন্ধানে আসা নুরনাহার জানান, এলাকায় কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে আসে নি। পুলিশের কয়েকজন এসেছিল। স্থানীয় জেলেরাই উদ্ধার অভিযান চালায়। নুরনাহারের ছেলে রনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার স্বামী বেলাল ও অপর ছেলে জনির সন্ধান এখনও পায় নি।
এদিকে কোস্টগার্ডের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা ডুবে যাওয়া ট্রলারের আহত ১৭ জনকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। তাদের মধ্যে পরে ৬ জন মারা যান।
পুলিশ জানায়, যারা মারা গেছে তারা আগেই মারা গেছে। এছাড়া আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে বলেও দাবি করেন। এমন মিশ্র বক্তব্য নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
অমিতাভ অপু/এসএস/এমএস