জিপিএ-৫ এর খবরেও দেখতে আসেনি বাবা


প্রকাশিত: ০৪:৪১ এএম, ১২ জুন ২০১৫

সপ্তাহে ৩ দিন ট্রাউজার সেলাই করে মহাজনের দোকানে পৌঁছে দিলে ১২০ টাকা হাতে পায় জয়পুরহাটের ভাদশা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের নূরবানু নামে এক সংগ্রামী নারী। আর সেই টাকা দিয়ে কোন মতে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলে নূরনবীর পড়াশোনা চালিয়ে আসছেন তিনি।

এদিকে, ছেলে ও মায়ের পরিশ্রমকে স্বার্থক করে ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ার পর এবারের এসএসসি পরীক্ষাতেও ভাদশা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

আর এ খবরে নূরনবীর বাবা বাবলু মিয়া ছেলের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে আসেনি। ছোট একটি কুঁড়ে ঘরে হতভাগ্য মাকে নিয়ে নূরনবীদের সংসারে আরো ২ ভাই-বোন রয়েছে। বাবা ৭ বছর আগে স্ত্রী-সন্তান রেখে রংপুরের বৈরাগীগঞ্জ এলাকায় ২য় বিয়ে করে নতুন সংসার পাতায় কোন খোঁজ খবর রাখেন না।

ভাদশা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার চৌধুরী জানান, মেধাবী ছাত্র নূরন্নবী আঁধার ঘরে যেন চাঁদের আলো। এমন দরিদ্র মেধাবীদের জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।