প্রেমিককে বিয়ে করতে দুদিন ধরে অনশনে বিজিবি সদস্যের স্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রতীকী ছবি

প্রেমের টানে চার বছরের শিশু সন্তানকে ফেলে বিবাহিত প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার আশায় গত দুদিন ধরে অনশন করছেন এক বিজিবি সদস্যের স্ত্রী। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সদর ইউপির বোতলারপাড় গ্রামে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শাহানাজ বেগম নামের ওই নারী রাজারহাট উপজেলার সদর ইউপির বোতলারপাড় গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে বিজিবি সদস্য হাফিজুর রহমানের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহানাজ বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মৎস্য খামারি উমর ফারুক মণ্ডলের ছেলে এক সন্তানের জনক ফখরুল ইসলাম বাবুর (২৬) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলে আসছিল। গত রোববার রাতে শাহানাজ বেগমের ঘরে বাবু রাতযাপন শেষে বের হয়ে আসার সময় প্রেমিকা শাহানাজ তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। এতে তিনি কৌশলে সটকে পড়ার চেষ্টা করলে শাহানাজ বেগম তার প্রেমিক বাবুর হাত ধরে সন্তানকে ফেলে স্বামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ফখরুল শাহানাজকে নিয়ে তার বাবার মৎস্য খামারের কেয়ারটেকার নুরুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের মধ্যে হতাশা নেমে আসে।

এদিকে রোববার দুপুরে রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশচন্দ্র দেব একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী প্রেমিক যুগলের বিয়ের প্রস্তাব দিলে পুলিশ চলে আসে বলে জানা গেছে। পরে রোববার দিবাগত রাতে প্রেমিক ফখরুল ইসলাম বাবু শাহানাজ বেগমকে রেখে পালিয়ে যায়।

শাহানাজ বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বাবু আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করে আসছে। সে যেখানেই যাক, আমি তাকে বিয়ে করেই ছাড়ব। এছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।

সোমবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রেমিকা শাহানাজ বেগম তার প্রেমিকের বাবার মৎস্য খামারের কেয়ারটেকার নুরুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

শাহানাজ বেগমের স্বামী বিজিবি সদস্য মো. হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে শাহানাজ বেগমের আর কোনো সম্পর্ক নেই। সে যেখানে গেছে সেখানেই সে থাকবে।

আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।