৫ বছরের প্রেম ভেঙে প্রেমিকের বিয়ে অতঃপর প্রেমিকা...

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

৫ বছরের প্রেম ভেঙে প্রেমিক দাদন মোল্যা বিয়ের খবর মোবাইল ফোনে জানানোর পরে টয়লেটে ব্যবহৃত হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রেমিকা সুইটি আক্তার।

গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৫টায় শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের ভাজনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা ১টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে সুইটির মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের ভাজনপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার (২১) ও শরীয়তপুর সদর পৌরসভার স্বর্ণঘোষ গ্রামের মৃত সায়দুল হক মোল্যার ছেলে দাদন মোল্যা (২৫) পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন। তারা দুইজন সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন।

গতকাল রোববার প্রেমিক দাদন মোল্যা অন্য স্থানে বিয়ে করার খবর মোবাইলে প্রেমিকা সুইটিকে জানান। এ খবর শুনে সুইটি টয়লেটে ব্যবহৃত হারপিক পান করেন।

হারপিক খেয়ে অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকলে সুইটিকে দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবার। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুইটি মারা যান।

মৃত সুইটি আক্তারের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে সুইটির সঙ্গে দাদনের পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। রোববার দাদন অন্য জায়গায় বিয়ে করার কথা আমার মেয়েকে জানায়। মেয়ে এ কথা শুনে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ রোববার রাতে সাধারণ ডায়েরি করেছি। আজ মামলা করবো।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দাদন মোল্যার চাচা খায়ের মোল্যা বলেন, ঘটনার পর দাদন স্বপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। কোথায় আছে আমি জানি না।

শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. নির্মল চন্ত্র দাস বলেন, সুইটির ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। ময়নাতদন্ত করেছেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ মোহাম্মদ এহসান ইসলাম।

নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, সুইটির বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা ও আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।

মো. ছগির হোসেন/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।